
মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে গত২০ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ইন্সটিটিউটের ভেতর থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে গিয়ে হঠাৎ অবরুদ্ধ হন সহকারী প্রক্টর ইয়াকুবসহ অন্তত ১০ শিক্ষক।
জানা যায়, রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় চারুকলা ইন্সটিটিউটের চলমান আন্দোলন সমাধানে গঠিত কমিটির কাগজপত্র নেওয়ার উদ্দেশ্যে অবরুদ্ধ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ১০ শিক্ষক। তবে তালা ভেঙে রুমে প্রবেশের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা। এর পর শিক্ষকদের ইন্সটিটিউটের ভেতরে রেখে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব ও ডেপুটি রেজিস্টার এম এ সাকুরও ছিলেন। পরে রাত ১২টার দিকে ইন্সটিটিউটে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়াসহ প্রশাসনের কয়েকজন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অবরুদ্ধ শিক্ষকদের বের করে আনেন তারা।
আন্দোলনরত চারুকলার স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সায়েফ কবির বলেন, এক দফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। রোববার বিকেলে শিক্ষকরা মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেওয়ার কথা বলে প্রবেশ করেন। কিন্তু তারা আমাদের আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশ্যে অবরুদ্ধ ক্লাস রুমের তালা ভাঙছেন এবং একাধিক ফাইল নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় বিভিন্ন রুম থেকে একাধিক ফাইল সংগ্রহ করতে থাকেন তারা। তাই আমরা বাধ্য হয়ে তাদের অবরুদ্ধ করি।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, আমাদের একজন সহকারী প্রক্টরসহ ইন্সটিটিউটের শিক্ষক সেখানে প্রবেশ করেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের কাগজপত্র নিতে বাধা দেয়। অবরুদ্ধ বলা যাবে না, শিক্ষকরা চাইলেই বের হয়ে আসতে পারতেন। আমরা সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করি। শিক্ষকরা তখন চলে আসেন।
তিনি আরও বলেন, শুরুতে তাদের ২২ দাবি থাকলেও হঠাৎ করে তা এক দফা দাবিতে পরিবর্তন হয়ে গেল। তবুও তাদের দাবি অনুযায়ী আমরা কমিটি করেছি। উনারা কাজ করছেন। কিন্তু রাতারাতি দাবি আদায় হয়ে যাবে এমনটা তো নয়। এজন্য সময় প্রয়োজন। ক্লাস বর্জন করে, তালা মেরে সমস্যা সমাধান হবে না।