
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ
বুধবার (১০ আগষ্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে ‘বঙ্গমাতা: যে মায়ের চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা‘ শীর্ষক বক্তব্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় । উন্মুক্ত বক্তব্য প্রতিযোগিতায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বক্তব্য রাখেন ।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “আমি যখন গাড়ি থেকে নেমেছি তখন যে স্লোগানগুলো শোনলাম তার জন্য মুহসীন হল ছাত্রলীগকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কারন আজকে অনেকদিন পর স্লোগান গুলো শুনে আমার মন ভরে গেছে ।প্রচলিত স্লোগান শুনতে শুনতে খারাপ লাগে কারন আমাদের দল তো একটি সৃজনশীল দল আমাদের দলে এতো মেধাবী মানুষ থাকার পরও নতুন স্লোগান ছিল না ।আমাদের দলের লোকেরা যখন খুব সুন্দর করে বলে,’মুজিব আমার বিশ্বাস, মুজিব আমার চেতনা’ তখন শুনতে খুব ভালো লাগে ।তাহলে আমরা কেন নতুন নতুন স্লোগান দিতে পারছি না।তিনি পদ্মা–মেঘনার দুই তীরে, মুজিব তুমি আসবে ফিরে,এটার সাথেআরো কয়েকটি স্লোগান উল্লেখ করে বলেন,অনেকদিন পর স্লোগান শুনে আমার মনটা ভরে গেল।”

স্লোগানগুলোর কয়েকটি:
* পদ্মা–মেঘনার দুই তীরে, মুজিব তুমি আসবে ফিরে
* রাখালিয়া বাঁশির সুরে, মুজিব তুমি আসবে ফিরে
* আমার সবুজ ক্যাম্পাসে, মুজিব তুমি আসবে ফিরে
* ধানসিঁড়ি ঐ নদীর তীরে, মুজিব তুমি আসবে ফিরে
* মুজিব মরলে হয় না শেষ, মুজিব মানেই বাংলাদেশ
* শক্তি–সাহস–দৃঢ়তা, অনুপ্রেরণায় বঙ্গমাতা
* শেখ হাসিনার শক্তি, তারুণ্য–মেধা–প্রযুক্তি
* শেখ হাসিনার প্রতিজ্ঞা, নারী অধিকার রক্ষা
* ওয়াজেদ জয়ের পথ ধরো, শিল্প বিপ্লব সফল করো
* বেশি বেশি গাছ লাগান, সফল করুন ডেল্টা প্লান
নতুন এই স্লোগানগুলোর উদ্ভাবিত হয়েছে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগ সভাপতি শহিদুল হক শিশিরের হাত ধরে।শহিদুল হক শিশির তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতার কারনে সর্বমহলে প্রশংসিত।
এই বিষয়ে ডাকসুর সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য রাকিবুল হাসান রাকিব তার এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, “মুহসীন হল ছাত্রলীগের স্লোগানগুলো বাকি ১৭টি হল দিবে না কেন? স্লোগানগুলো ছাত্রলীগের অন্য সব ইউনিটে ছড়াবেনা কেন?
দিবেনা একথা কেউ বলেনি। কিন্তু দিচ্ছে না তো! কেন দিচ্ছেনা? স্লোগানগুলো কয়েকমাস হলো সবার নজর কেড়েছে। কিন্তু এরবিস্তৃতি নেই। কেন?
উত্তর হলো সংকীর্ণতা। এ থেকে যারা বের হবে, তারাই শেখ হাসিনার আগামীর বাংলাদেশের উপযুক্ত নেতৃত্ব।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহ বিভিন্ন শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রশংসায় ভাসছে এই নতুন স্লোগানগুলো।
