#bd#news#politics#du#bcl

ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে আলোচিত প্রার্থী ময়মনসিংহের শেখ সিজার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক। শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজারের রাজনীতিতে  পদার্পণ তৃণমূলের ছাত্র রাজনীতি থেকে। যার  হাতে খড়ি তাঁর রাজনীতিবিদ বাবার মাধ্যমে। সিজারের রাজনীতি শুরু তারাকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের (নয়ন- সুমন কমিটির) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক হিসাবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তিনি মুহসিন হল ছাত্রলীগসহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ গ্রহন করেছেন এবং করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল কর্মসূচি সফল করতে সক্রিয় ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সমান অবদান রেখে চলেছেন জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি ময়মনসিংহের  সামজিক সংগঠন শেখ আব্দুল্লাহ আল নোমান স্মৃতি ক্লাবের সভাপতি। ময়মনসিংহের শেখ জমির উদ্দিন মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কো অর্ডিনেটর।

 

শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজার রাজনীতির পাশাপাশি পড়ালেখায়ও রেখেছেন মেধার স্বাক্ষর। তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পরেও তিনি জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আরও বিস্তারিত জানার জন্য এম.ফিলে ভর্তি হন। এম.ফিলে তাঁর গবেষণার বিষয়বস্ত হচ্ছে জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শাসনামলে (১৯৭১-১৯৭৫) মাদ্রাসা শিক্ষার প্রকৃতি ও উন্নয়নঃ একটি ঐতিহাসিক অধ্যয়ন। পাশাপাশি তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লিবার্টি ‘ল’  কলেজে অধ্যায়নরত।

পারিবারিক রাজনৈতিক ইতিহাসঃ শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজারের পিতা অধ্যক্ষ শেখ জামাল উদ্দিন ময়মনসিংহের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তারাকান্দা উপজেলা শাখা। সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা যার হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে  একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন তাঁর মধ্যে আছে শেখ মুজিব কলেজ, শেখ হাসিনা মহিলা কলেজ, চরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, চরপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, চরপাড়া ডাকঘর ও শেখ জমির উদ্দিন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।

শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজারের দাদা মরহুম শেখ জমির উদ্দিন ছিলেন  স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ।  যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ায় পাক হানাদার বাহিনির হাতে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হন। তার বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে  অমানবিক নির্যাতন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজারের নানা মরহুম ডাঃমোহাম্মদ আলী   ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। যিনি তাঁর গ্রামের একজন প্রখ্যাত পল্লী চিকিৎসক। তিনি ১৮নং ওয়ার্ড (বর্তমান ৭নং)রামপুরা ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ছিলেন।

শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজার উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক হওয়ার সুবাধে তিনি করোনার সময়ে নিজেকে ভয়ের জালে না জড়িয়ে নিজে করোনা সময়ে নিজে  উপস্থিত থেকে’ বঙ্গমাতা অক্সিজেন সেবা’র কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। করোনার রোগীর বাসায় অক্সিজেন নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। পথচারীদের মধ্যে খাদ্য , মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন।

আগামী ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক শেখ হাসিনা।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *