
স্পোর্টস ডেস্ক:
২০১৭ সালে ‘রেকর্ড’ ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে পিএসজিতে আসেন নেইমার। এবার এই তারকাকে মাত্র ৫০ মিলিয়ন ইউরোতেই বিক্রি করে দিতে চায় ক্লাবটি। ইতিমধ্যে ক্লাবটি গোপনে গোপনে প্রচারও শুরু করেছে। নেইমারকে কিনতে আগ্রহী যে কোনো ক্লাবই চাইলে কিনে নিতে পারবে তাকে।
ব্রাজিলিয়ান তারকার উপর সন্তুুষ্ট নন পিএসজির কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে দলটিতে ক্লাবটিতে আসছে অনেক পরিবর্তন। এরই মধ্যে নতুন স্পোর্টস ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ক্লাবে। লুইস ক্যাম্পোস দায়িত্ব নিয়েছেন স্পোটিং ডিরেক্টরের। কোচ মাওরিসিও পোচেত্তিনোর বিদায় প্রায় চূড়ান্ত। নতুন স্পোটিং ডিরেক্টরের পরিকল্পনাতে নেই এই কোচ ও নেইমার।
কিলিয়ান এমবাপেকে রেকর্ড মূল্যে ধরে রাখার পর থেকেই নেইমারের বিদায়ের আলোচনা শুরু হয়। ব্রাজিলিয়ান এই তারকা মেসির ছায়াতল থেকে বেরুতেই পিএসজিতে যোগ দিয়ে ছিলেন। কিন্তুু সেই মেসিই পিএসজির ভরসা। তবে ক্লাবটি আর্জেন্টাইন অধিনায়কের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ফরাসি তারকা এমবাপেকে। ফলে তাদের পরেই তিন নাম্বারে চলে আসছেন নেইমার। হয়ে পড়ছেন গুরুত্বহীন।
তবে পিএসজিতে আসার পর থেকেই নেইমার বারবার চোটে পড়ছেন। তার ফিটনেসই প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ছিটকে পড়েন স্কোয়াড থেকে। এসব নিয়েও অসন্তুুষ্ট পিএসজির কর্তারা। যার কারণে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ছেড়ে দিতে চাচ্ছেন তারা। লুইসের পরিকল্পনাতেই আগামি মৌসুমে চলবে পিএসজি। এই নতুন পরিচালকের পরিকল্পনায় নেই কোচ ও নেইমার। ফলে তার বিদায়ের সময়ই এগিয়ে আসছে।
স্প্যানিশ বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক হোসে আলভারেজ জানিয়েছেন, পিএসজি নেইমারকে ৫০ মিলিয়ন ইউরো পেলেই ছেড়ে দেবে। এল চিরিঙ্গুইটো টিভিকে এই সাংবাদিক জানিয়েছেন, বার্সার সামনে সুযোগ আসছে এই তারকাকে দলে নেওয়ার। তিনি বলেন, ‘বার্সেলোনার বড় একটি সুযোগ এসেছে ৫০ মিলিয়ন ইউরোতে নেইমারকে দলে টানার। শুধু তাই নয়, নেইমারকে কেনার সুযোগটা লূফে নিতে পারে রিয়াল মাদ্রিদও।’
নেইমারকে ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে গোলডটকমও। তারা জানিয়েছে, এই তারকার আচার-ব্যবহার এবং তার বাজে ফর্ম নিয়ে চিন্তিত পিএসজির কর্তারা। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৪৪ ম্যাচ খেলা নেইমার গোল করেছেন মাত্র ১০০টি। সম্প্রতি নেইমার ইস্যুতে পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফি বলেন, ‘ক্লাবের নতুন প্রজেক্টে নেইমার অংশ কি না? আমরা কিছু খেলোয়াড় সম্পর্কে আসলে প্রকাশ্যে কথা বলবো না। কিছু খেলোয়াড় আসবে, কিছু খেলোয়াড় যাবে। এটাই তো নিয়ম। এখানে কিছু ব্যক্তিগত বা গোপনী আলোচনা থাকে।’