#morningtribune#news#bd

শেখ হাসিনা রচিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হবে অগ্র সৈনিক: ইনান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ ওয়ালী আসিফের (ইনান) নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে গণভবনে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক থেকে বের হয়ে সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কমিটি ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি হওয়া সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে আসা শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

নতুন কমিটি হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইনান গণমাধ্যমকে জানান, মহান স্রষ্টার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। পাশাপাশি আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আমার মাতৃতুল্য দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি। তিনি আমাকে তৃণমূলের লাখ লাখ নেতাকর্মীর ম্যান্ডেট নিয়ে যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি যেন সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি—সেজন্য আমি তার কাছে দোয় চাচ্ছি। দেশবাসী ও প্রাণের সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছেও দোয়া চাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমার পরিকল্পনা শুধু এতোটুকুই, আমি আমার জন্ম থেকে শিখেছি শেখ হাসিনার চলার পথকে মসৃণ রাখতে হবে। এটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। বঙ্গবন্ধু কন্যা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত তার চলার পথকে মসৃণ রাখতে কাজ করে যাবো। শেখ হাসিনা রচিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হবে অগ্র সৈনিক। শেখ হাসিনার স্বপ্নের সারথি হয়ে ছাত্রলীগ কাজ করে যাবে।

তিনি বলেন, সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ (মঙ্গলবার) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও অন্যান্য শাখার যাদের প্রার্থিতা রয়েছে তাদের জীবন বৃত্তান্ত বাছবিচার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নাম অনুমোদন করেছেন।

এর আগে, গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ওইদিন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। শেখ হাসিনার পরামর্শে নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত হবে বলে ওইসময় জানানো হয়।

ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে আসতে প্রার্থিতার ফরম জমা দিয়েছিলেন ২৫৪ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিল ৯৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২৯তম সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ণ দায়িত্ব পান তারা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *