রাজধানীর পল্লবীতে চালককে গলা কেটে হত্যা করে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ চেকপোষ্টে ধরা পড়েছে এক ব্যক্তি। তার নাম কাওছার আহম্মেদ(২২)।
বুধবার (২৯ জুন) রাত পৌনে ২ টা দিকে পল্লবীর কালশী মোড় এলাকায় মোটরসাইকেল চালক রাজা হোসেনের (৩৪) গলায় এন্টিকার্টার দিয়ে হত্যার পর ঘাতক কাওছার মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
রাত ২ টার দিকে বিরুলিয়া ব্রিজের কাছে পুলিশ চেকপোষ্টে তল্লাশির সময় কাওছারকে ধাওয়া করে পুলিশ আটক করে। গ্রেফতার কাওছার বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) আদালতে এ সংক্রান্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত রাজা হোসেন মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ৩ নম্বর রোডের ধ ব্লকের ৫৫৭ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, বুধবার রাত ২ টার দিকে ৯৯৯ থেকে একটি ফোন আসে যে পল্লবীর সুলতান মোল্লা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন আব্দুল লতিফ মিয়ার বাড়ির সামনে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। এই সংবাদের প্রেক্ষিতে পুলিশ সেখানে গিয়ে জিন্সের প্যান্ট পরিহিত গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। লাশের পাশে মোটরসাইকেলের হেলমেট পড়েছিল। তখন পুলিশ আশেপাশের থানায় ওয়ারলেস বার্তা দেওয়া হয়।
এই সংবাদের প্রেক্ষিতে রাত আড়াইটায় সাভারের বিরুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল থামার সংকেত দিলে সেটি না থেমে উল্টা ঘুরে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করে।
আটক ব্যক্তির পরিহিত কাপড় ও মোটরসাইকেলে রক্তের দাগ থাকায় এবং তার কথাবার্তা সন্দেহ হওয়ায় তিনি বিষয়টি পল্লবী থানাকে জানায়। পল্লবী থানার একটি টিম সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে মোটরসাইকেলটি হেফাজতে নেন।