আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমছেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ৯০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দাম কমে সাত মাসে সর্বনিম্ন হয়েছে। খবর রয়টার্সের ও সিএনএনের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারে (এক ধরনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল) ব্যারেল প্রতি কমেছে ১ দশমিক ০৮ মার্কিন ডলার। যা আগের তুলনায় ২ শতাংশ কম। এখন প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯১ দশমিক ৭৫ ডলার। গত সাত মাসের মধ্যে এই হার সর্বনিম্ন।
অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) এবং তাদের মিত্ররা গত অক্টোবরে ঘোষণা দেয় প্রতিদিন এক লাখ ব্যারেল কম তেল উৎপাদনের। এরপরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যায়।
ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠান সিএমসি মার্কেটের বিশ্লেষক টিনা টেং বলেন, ‘একটি শক্তিশালী মার্কিন ডলার (সুদ), আক্রমণাত্মক বৃদ্ধি, বন্ড বেড়ে যাওয়া, এবং চীনের প্রবৃদ্ধিতে মন্দা তেলের দামের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে মন্দাভাব শুরু হয় জ্বালানি তেলের বাজারে। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত গত ছয় মাসে বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবারও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে দাম কমছে, তাতে শিগগিরই দেশের বাজারেও দাম কমবে।
সরকারের অবস্থান হলো, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম না কমলে বিদ্যুত উৎপাদন হ্রাস করা হবে। বিশ্ববাজারে যখন জ্বালানি তেলের দাম গড়ে প্রতিব্যারেল ১০০ ডলারের কাছাকাছি ওঠানামা করছিল, ঠিক তখন বাংলাদেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম একলাফে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।