মাগুরা প্রতিনিধিঃ
মাগুরার শ্রীপুর থেকেও প্রত্যন্ত এক গ্রাম গোয়ালদহ। স্কুল শেষ হওয়ার পর যখন স্কুল ব্যাগটা পিঠে নিয়ে সব মেয়েরা দলবেঁধে বাড়িতে যায়,তখন কিছু মেয়ে থেকে যায় স্কুল প্রাঙ্গণে। একে একে বাকিরাও আসে। আসে প্রভাস স্যার ও শহিদুল স্যার।
শুরু হয় তাদের ফুটবল প্রশিক্ষণ। শুরুর দিকে শতবাধা ও অভিভাবকদের অনিচ্ছা সত্বেও প্রভাস স্যারও শহিদুল স্যারের প্রচেষ্টায় চলতে থাকে মেয়েদের ফুটবল প্রশিক্ষণ। ২০১২ সাল থেকে শুরু হয় মেয়েদের ফুটবল ক্যারিয়ার গড়ে তোলার মিশন যা সফলতার মুখ দেখে ২০১৮ ও ১৯ এ বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে মেয়েদের খুলনা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যে দিয়ে। এর আগেও ৪ বার রানার আপ হয়েছে খুলনায় মেয়েদের এই টিমটি। মাগুরা জেলা মেয়েদের বয়সভিত্তিক টিমে এই গুরুদের শিষ্যদের দখল শতভাগ। এই টিমটি (JFA Under 18) এ দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২০১৮ ও ১৯ এ। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে এরা চাম্পিয়ন। প্রভাষ স্যারের শিষ্যাদের মধ্যে ১৪ জন এখন বিকেএসপিতে এবং ৮ জন জাতীয় বিভিন্ন বয়সভিত্তিক টিমে প্রতিনিধিত্ব করছে। এদেরই দুজন ইতি রানি ও সাথী যারা এবার সাফে মেয়েদের টিমে অতিরিক্ত গোলকিপার হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছে। সাথীর সাথে কথা বলতে গেলে সে জানায় সে অনেক আনন্দিত এই জয়ে এবং সকলের কাছে দোয়া চেয়েছে সে। গুরু প্রভাস রঞ্জন দেবজ্যোতি বলেন, খেলার মাধ্যমে এই মেয়েরা জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করে দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে নিয়ে আসবে ও এদের পরিবারও স্বচ্ছলতার মুখ দেখবে।” কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এই মেয়েদের শিক্ষণ। এই মেয়েদের খেলার জন্য সুন্দর একটা মাঠ পর্যন্ত নাই,নেই খেলা শেষে এদের সামান্য নাস্তা দেওয়ার ব্যবস্থা। এতোসব সীমাবদ্ধকে মাথাও নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছে তাদের এই প্রচেষ্টা।