ইতালির সার্দিনিয়া শহরে হবে বিশ্ব জুনিয়র দাবা টুর্নামেন্টে। এতে অংশ নিতে দেশটির দূতাবাসে ভিসার আবেদন করেন বাংলাদেশের ৭ দাবাড়ু। কিন্তু তারা কেউ ভিসা পায়নি। ইতালি থেকে যাওয়ার শঙ্কা দূতাবাসের তাই ভিসা দেয়নি দাবাড়ুদের।
আগামী ১২-১৩ অক্টোবর এ টুর্নামেন্টে শুরু হবে। তবে এতে অংশ নেওয়া প্রায় অনিশ্চিত।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এই প্রথম পৃথিবীর কোনো দেশ ভিসা দিল না। বিষয়টি হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবউদ্দিন শামীম। তিনি বলেন, আগে ইউরোপের অনেক দেশেই গেছেন আমাদের দাবাড়ুরা। অথচ এবার ফিরে আসার চুক্তি করার পরও ভিসা দেয়নি দূতাবাস। এতে খুবই কষ্ট পেয়েছেন খেলোয়াড়রা।
বাংলাদেশ থেকে ভিসার আবেদন করা হয়েছিল দুজন ছেলে ও পাঁচজন মেয়ে দাবাড়ুর। কিন্তু ভিসা দেওয়া হয়নি কাউকেই। শুধু তাই নয়, ভিসার আবেদন করে এবার ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সদস্য ও টিম লিডার মাহমুদা চৌধুরীর, ‘দূতাবাসে আমরা সব কাগজপত্রই জমা দিয়েছিলাম। বিস্তারিত জানিয়ে বিশ্ব দাবা সংস্থা ফিদে থেকে চিঠিও দেওয়া হয় দূতাবাসে। সেই চিঠির কোনো গুরুত্বই তারা দেয়নি।’
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সদস্য ও টিম লিডার মাহমুদা চৌধুরী মলি আক্ষেপ করে বলেন, বিস্তারিত জানিয়ে বিশ্ব দাবা সংস্থা ফিদে থেকে চিঠিও দেওয়া হয় দূতাবাসে। সেই চিঠির কোনও গুরুত্বই তারা দেয়নি তারা। সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে ঠিকভাবে কথাও বলতে চাননি। শুধু বলেছেন, বাংলাদেশিরা ইতালিতে গেলে আর ফিরে আসে না। আর তাদের বয়স কম। সেখানে থেকে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই ভিসা দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।ক।
এবার বিশ্ব জুনিয়র দাবায় যেতে চাওয়া সাত খেলোয়াড়ের দুজনের খরচ দেওয়ার কথা ছিল ফেডারেশনের। বাকিরা নিজ দল বা পৃষ্ঠপোষকের মাধ্যমে খরচ জোগাড় করেন। রোম থেকে ভেন্যুতে যেতে বিমানে অফেরতযোগ্য টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। টিকিট কাটা হয় ঢাকা থেকে ইতালিরও। সঙ্গে ভিসা ফিসহ আনুষঙ্গিক খরচ তো আছেই।
ইতালি দূতাবাস ভিসা না দেওয়ায় খেলোয়াড়দের প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক দাবা বিচারক হারুনুর রশিদ।