
ঢাবি প্রতিবেদকঃ
নতুন বছর বরণ উপলক্ষ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও পটকাবাজি ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবুও পুরনোকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ফুটানো হচ্ছে আতশবাজি ও পটকা, আকাশে ওড়ানো হচ্ছে ফানুস।
গত বছর ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে’ ফানুস পড়ে রাজধানীর প্রায় ১০টি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।তাই এ বার ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে নিষেধাজ্ঞা না মেনে থার্টি ফার্স্ট নাইটে পুলিশের উপস্থিতিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ওড়ানো হচ্ছে ফানুস।
ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে থেকে আতশবাজি ফুটিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান ঐ সময়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা। রোকেয়া হলের সামনে ও টিএসসি এলাকায় ওড়ানো হয় কয়েক ডজন ফানুস। অবশ্য রাত নয়টার পর থেকেই টিএসসি এলাকায় ফানুস ওড়ানো শুরু হয়।
কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, রাত আনুমানিক ১২টার দিকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের উপস্থিতির সময়েও তাদের সামনে ফানুস উড়ানো ও আতশবাজি ফাটাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।। যদিও ঢাবি কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে ফানুস উড়ানোর কোনো অনুমতি নেই বলে জানিয়েছিলেন ঢাবির প্রক্টর।
এ সময় দেখা যায়, ঢাবির বিভিন্ন হলের সামনে,শাহবাগ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকা বিভিন্ন দোকানদার,পথশিশুরাও ফানুস বিক্রি করছে অনেকের কাছে। তবে কার অনুমতি নিয়ে তারা ফানুস বিক্রি করছে, বিষয়টি জানতে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তারা কিছু বলতে রাজি হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমি নিজে উপস্থিত থেকে টিএসসি এলাকায় এ বিষয়ে অনেককে সতর্ক করে দিয়েছি। পথশিশু যারা বিক্রি করছিল তাদের সরিয়েও দিয়ে এসেছি। এছাড়াও আমরা নিরাপত্তা, আনন্দ, সৌন্দর্য সবকিছুর সমন্বয় করেছি।ঢাবির স্টিকার ব্যতীত অন্য গাড়িগুলো যেন আজকে ক্যাম্পাসে না আসে সেই ব্যবস্থা করেছি। তবে ইমার্জেন্সি সার্ভিসগুলো কড়াকড়ির বাইরে থাকবে।
