ঢাবি প্রতিবেদকঃ
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে চুরির ঘটনা বেড়েছে। বেশিরভাগ ঘটনার সঙ্গে বহিরাগতরা জড়িত বলে সন্দেহ করছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততার প্রমাণও মিলেছে কয়েকবার। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক হলগুলোর মধ্যে বিজয় একাত্তর হল অন্যতম। সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও মোবাইল, ল্যাপটপসহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে নিয়মিত। এই হলে গত ৭ দিনে অন্তত ৫টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বিজয় একাত্তর হলের পদ্মা- ৭০০১ নং কক্ষ থেকে একাধিকবার নগদ অর্থ চুরি হয়েছে। গত ২৮/৮ / ২২ তারিখে রুম থেকে ক্যানন-৮০ডি ডিএসএলআর ক্যামেরা চুরি হয়েছে।তারপর গত ০৮/১০/২০২২ তারিখে রুম থেকে একটি এইচপি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। সর্বশেষ, গতকাল (৩১/১২/২০২২) আবারও একটি এইচপি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। উল্লেখ্য, এই সময় রুম তালাবদ্ধ ছিল এবং চুরি হওয়া ল্যাপটপ ড্রায়ারে তালাবদ্ধ ছিল। সর্বমোট ২,৪০,০০০ টাকা সমমূল্যের ইলেকট্রিক ডিভাইস ও নগদ অর্থ চুরি হয়েছে। রুমে সিসিটিভি ক্যামেরা সেট করে থাকা সত্ত্বেও চুরির সময় তা বন্ধ করে চুরি করা হয়েছে সুকৌশলে। রুমের সদস্য আজম খান জানান, রুমের তালা ভেঙে প্রবেশ করে চোর তালাও গায়েব করে দেয় এবং মানিব্যাগ থেকে শুধু টাকা সরিয়ে নিয়ে মানিব্যাগটি রেখে দেয়। এ নিয়ে তারা বিজয় একাত্তর হল প্রশাসন বরাবর লিখিত আবেদন করেছে। অন্যদিকে হলের এমন ঘটনায় অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পদ্মা ব্লকের আরেকজন শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন তিনি তার গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলা নিয়ে শঙ্কিত এবং সকল ফ্লোরে ফ্লোরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘ সবাই সম্মতি দিলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে হলের প্রতি ফ্লোরে সিসি ক্যামেরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে। হলের প্রতি ফ্লোরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে চাইলে হলের একভাগ শিক্ষার্থী সম্মতি দিলেও অন্য পক্ষ এর বিপক্ষে কথা বলে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সব ধরনের অপরাধমূলক কাজ ও অপতৎপরতা ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট রয়েছে। আগের চেয়ে চুরি বাড়েনি বরং কমেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে আলোর ব্যবস্থা করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা ও সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার কাজগুলো প্রতিনিয়ত চলছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। যেহেতু এই ক্যাম্পাসের রাস্তা ব্যবহার করে অনেকে চলাফেরা করেন, সে কারণে নিরাপত্তায় সবার সহযোগিতা দরকার।’