ছাত্রীকে হত্যার#News#Bd#Morningtribune#latest

ঢাবির ছাত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে দাফনের চেষ্টা:মা-ভাই আটক

যশোর প্রতিনিধি

ফারহানা নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় তিনি মা ও ভাইয়ের সাথে যশোর শহরের বেজপাড়ার চারখাম্বার মোড় এলাকার ইমরান কবীরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

ছাত্রীকে হত্যার কারণ?

পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে তার ভাই ফারদিন শ্বাসরোধে ছাত্রীকে হত্যা করে। এরপর ফারদিন ও তার মা আইরিন পারভীন লাশ গ্রামের বাড়ি মাগুরার শালিখায় নিয়ে যায়। আত্মহত্যা করেছে বলে তাকে দাফনের করার চেষ্টা করা হয়। নিহতের গোসলের সময় তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এরপর ফারহানা চাচা রবিউল ইসলাম বিষয়টি শালিখা থানা পুলিশকে অবহিত করে। শালিখা পুলিশের মাধ্যমে অবহিত হওয়ার পর যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ ফারহানার লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারহানার ভাই ফারদিন ও মা আইরিন বেগমকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এরপর তারা হত্যার দায় স্বীকার করলে ফারহানার চাচা রবিউল ইসলামের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মর্নিং ট্রিবিউনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে যশোর কোতয়ালি থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিং এ আরো জানানো হয়, নিহত ফারহানা মাগুরার শালিখা উপজেলার শ্রীহট্ট গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মেয়ে। ভাই ফারদিন আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের এলএলবির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত মঙ্গলবার রাতে কি একটা বিষয় নিয়ে ভাইবোনের মধ্যে পারিবারিক কলহ  হয়। সে সময় ফারদিন তার বোনকে জোরে ধাক্কা মারে। তার বোন মেঝেতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

ঢাবি অধ্যাপককে অপসারণ

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানিয়েছেন, নিহতের বাবা আইনজীবী ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে  মারা যান। এরপর থেকে তারা যশোরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ফারহানা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়লে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়ে  বাড়িতে নেয়া হয়। আইরিন পারভীনের পিতার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির কারোর সাথে যোগাযোগ ছিল না। তারা একাই থাকতো। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাত তিনটার দিকে ফারহানার লাশ একটি প্রাইভেটকারে করে বসিয়ে মাগুরার শালিখার শ্রীহট্টি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু লাশের মাথায় আঘাত দেখে নিহতের দাদা বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর  দেয়া হয়। এরপর জানা গেছে ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেনি।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *