ঢাবি প্রতিবেদকঃ
জ্যোতির্ময় শরৎ। আকাশে মেঘের ভেলা। সুনীল রূপকান্তি, আলো ছায়ার লুকোচুরি। ঋতু পরিবর্তনের ধারাপথে নিয়ত উদ্ভাসিত রূপ, রং ও সুরের খেলা।
ইমারতের এই নগরে ফাঁক-ফোকর গলে কতটা আর পাওয়া যায় শরৎ। পাওয়া যায় না, তবে শরতের মাধুর্য কে হারাতে চায়। চায় না বলেই শরৎ উৎসবে স্নিগ্ধ সকালে নগর মানুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় ‘শরৎ উৎসব’ উদযাপিত হয়েছে। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী এই উৎসবের আয়োজন করে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম খালিদ প্রধান অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম খালিদ এই আয়োজনের জন্য ঢাবি ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, শরৎ উৎসবসহ বাঙালি সংস্কৃতির সব উৎসব এদেশের মানুষ ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষ উদযাপন করে। এ ধরনের উৎসবের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধন আরও জোরালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এই শরৎ উৎসব। কবিতা, নাচ, গান, নৃত্য ও আনন্দের মাধ্যমে এটি উদযাপন করা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি এদেশের সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চর্চার মধ্যে দিয়ে মানুষের মনের উদারতা ও গভীরতা আরও প্রসারিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাবি সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি ড. নিগার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ এবং সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট বক্তব্য রাখেন।