#du#hall#bd

জীবন্ত প্রভোস্টকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়ে দিল শিক্ষার্থীরা

ঢাবি প্রতিবেদকঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া নিয়মিত আসেন না হলে এমন অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। হলের বিভিন্ন সমস্যার সময়অ নাকি তাকে থাকে পাওয়া যায় না । এতে ক্ষুব্ধ ছাত্ররা হলের দেয়ালে দেয়ালে সাটিয়ে দিয়েছেন  প্রাধ্যক্ষের মৃত্যুসংবাদের খবর।

প্রাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া মারা গেছেন—এমন একটি পোস্টার হলের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় হলের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্থানে এ পোস্টার লাগানোর বিষয়টি।

পোস্টারটিতে লেখা রয়েছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা’ সূর্য সেন হলের প্রভোস্ট জনাব মকবুল হোসেন ভুঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহ … রাজিউন)। তার অকালপ্রয়াণে মাস্টারদা সূর্য সেন হল পরিবার অত্যন্ত শোকাহত। তিনি ১ ছেলে, ১ মেয়ে, স্ত্রী এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শোকান্তে: মাস্টারদা সূর্য সেন হল পরিবার।’

আরও পড়ুন:

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রভোস্ট স্যারকে হলে খুঁজে পাওয়া যায় না।তার কাছ পর্যন্ত কোন  অভিযোগ জানানোর পৌঁছানোর সুযোগ নেই। হলের ক্যান্টিন বন্ধ, ওয়াশরুম গুলো ও  প্রায় বন্ধ। ডাইনিং-এ গ্যাস সংকটসহ নানা সমস্যা লেগেই আছে। কিন্তু ওনাকে কোথাও খুঁজেও পাওয়া যায় না। তাই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ স্বরূপ এ বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়েছে।

ইতোপূর্বে  ২০২১ সালে নভেম্বর মাসে শিক্ষার্থীরা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেনের নামে  ভুঁইয়ার ‘নিখোঁজ’ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। ওই সময় একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হল সংলগ্ন দেয়াল, মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি চত্বরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এ বিজ্ঞপ্তি লাগানো হয়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে মাস্টারদা সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, যারা এ কাজ করেছে, তাদেরকে খুঁজে পেলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। নিশ্চয় কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ এটা করেছে।

 

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এ ধরনের কাজ হলো মূল্যবোধহীন রূঢ় তামাশা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কোনো সদস্য এ ধরনের মূল্যবোধ পোষণ করে না। অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, এটা এ ধরনের কোনো একটা বিষয় হবে।’

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *