
নাটোরের গুরুদাসপুরে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছাত্রীকে নিয়ে পালানোর একদিন পর ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ওই ছাত্রী এখন আর বাবার বাড়ি যেতে চায় না।
জানা গিয়েছে, ওই প্রধান শিক্ষকের নাম ফিরোজ আহমেদ। তিনি গুরুদাসপুরের নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ওই ছাত্রীর বাবা স্কুলে গিয়ে জানতে পারেন, প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ নাকি তার মেয়েকে নিয়ে চলে গিয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মামুদপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি মাইক্রোবাস ওই ছাত্রীকে মামুদপুর এলাকায় নামিয়ে দিয়ে দ্রুত চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে চিনতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শনিবার দুপুরে উপজেলার নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ তার বিদ্যালয়ের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে (১৬) নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই ছাত্রী শনিবার ১০টার দিকে ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে যায়। পরীক্ষা শেষ হলে তাকে নিয়ে পালায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। তারপরে আর সে ফেরেনি। দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পরেও ছাত্রী ঘরে না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। এরপরে ওই ছাত্রীর বাবা স্কুলে গিয়ে জানতে পারেন, প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ নাকি তার মেয়েকে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছেন। এরপরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পান তার মেয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে রাজশাহীতে একটি বাড়িতে রয়েছেন। এরপরেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ছাত্রীর বাবা। কিন্তু, প্রধান শিক্ষক ছাত্রীকে ছাড়তে রাজি হননি। এমনকি ওই ছাত্রীও তার বাবাকে নাকি জানিয়ে দেয় যে সে প্রধান শিক্ষককে বিয়ে করেছে। আর বাড়ি ফিরতে চায় না।
পরে থানায় গিয়ে ওই প্রধান শিক্ষক-সহ তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা-মা। ঘটনায় রাজশাহীর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে সেখান থেকে ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায় প্রধান শিক্ষক। গুরুদাসপুর থানার ওসি মহম্মদ মতিন জানিয়েছেন, ‘এ নিয়ে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। অভিযুক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’