নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি পেলে আসছে আগামী ১০ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৩০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বে থাকা দলের চার নেতা জরুরি সভা করেছেন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র হতে জানা যায়, আগামী ৩ ডিসেম্বর মহিলা আওয়ামী লীগ এবং ১০ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। দলের সভাপতি সম্মতি দিলে নির্ধারিত তারিখে এসব সম্মেলন হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়।কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ ১ বছর না পেরোতেই তাদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ওঠে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনেও ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কথা ওঠে আসে।
আসে নানান ঘটনার পর সেই কমিটির সভাপতি ও সম্পাদককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। এরপর ভারপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্বে আসেন আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্য। সাড়ে তিন মাস পর ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘ভারমুক্ত’ হন জয়-লেখক। তবে তারা ভারমুক্ত হলেও ঝামেলামুক্ত হয়নি ছাত্রলীগ। প্রেস রিলিজে কমিটি গঠন, বিবাহিত -চাঁদাবাজ-মাদকসেবিদের কমিটিতে আনা, বছরের পর বছর পদ আঁকড়ে থাকাসহ নানান অভিযোগে টালমাটাল ছাত্রলীগ।