নিজস্ব প্রতিবেদক
গুলিস্তানে বিআরটিসি কাউন্টারের পাশে সাত তলা ভবনে বিস্ফোরণে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জন হয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন বলে খবর। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, ভবনের নিচতলায় স্যানিটারির দোকান ছিল। নিচতলায় বিস্ফোরণ ঘটে ওপরের কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে এখনো উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
এদিকে বিস্ফোরণে আহত ৪৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা বিস্ফোরণের পর ভবন থেকে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার । ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে বিকেল ৪টা ৫৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রথমে পাঁচটি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করে। বর্তমানে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ করছে।’ এ বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ‘ক্যাফে কুইন’ নামে সাততলা ভবনের নিচতলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় পাশাপাশি থাকা দুটি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরেজমিন দেখে গেছে, সাততলা যে ভবনে (ক্যাফে কুইন) বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার পাশে ‘চায়না পয়েন্ট’ নামে আরেকটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। এ ভবনে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। বিস্ফোরণে পাঁচতলা এ ভবনের সব ফ্লোরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ভবনের জানালার কাচ।
বিস্ফোরণের ভয়াবহতা আঁচ করা যাচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা দেখেও। সব ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গেছে। রাস্তায় চলাচল করা কয়েকটি যাত্রাবাহী বাসও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বাসের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। আহত হয়েছেন বাসে বসে থাকা যাত্রীরাও।