#pm

উপবৃত্তির টাকা গায়েব প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চিঠি

রাজশাহী প্রতিবেদকঃ

বৃত্তির টাকা না পাওয়ায় মন খারাপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখিছেন প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। সেই চিঠি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবার নিউজফিডে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে।

রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার তেবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর নাম জুনায়েদ সিদ্দিক। জুনায়েদ দুর্গাপুর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাফির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি লিখেছে সে। তার বাবা সিরাজুল ইসলাম সেই চিঠির ছবি তুলে নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

জুনায়েদ সিদ্দিক তার চিঠিতে লিখেছে, আমার উপবৃত্তির টাকা আমি এখনো পাইনি। বাবা বলেছিল উপবৃত্তির টাকা পেলে স্কুল ব্যাগ আর ছাতা কিনে দেবে। কিন্তু আর তা হলো না। স্যারদের মাধ্যমে জানতে পারলাম, কেউ আমার টাকা তুলে নিয়েছে। প্রতিদিন আমাকে ছেঁড়া ব্যাগ আর ভাঙা ছাতা নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। তাতে আমার কোনো দুঃখ নেই। এরপর যেন এমনটি না হয় এটাই দাবি।

জুনায়েদ সিদ্দিক নগদ প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে ধারণা তেবিলা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাফির উদ্দিন মণ্ডলের। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে ১২৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে জুনায়েদসহ ২১ জন।প্রত্যেককে নতুন পোশাকের জন্য ১ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে ১৫০ টাকা হারে উপবৃত্তি দেয় সরকার। অভিভাবকদের নগদ হিসাবে এই টাকা চলে আসে। অনেকেই উপবৃত্তির টাকা তুলতে পারলেও কেউ কেউ পারেনি। জুনায়েদও যে উপবৃত্তির টাকা পায়নি তা তিনি জানতেন না। তার লেখা চিঠি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর জানতে পারেন। আসলে এ নিয়ে তাদের করার কিছুই নেই।

এদিকে শিশু জুনায়েদ সিদ্দিকের লেখা চিঠি নজরে এসেছে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানাকে বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইউএনও বলেন, খবর পেয়ে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জুনায়েদকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। দুপুরের দিকে বাবা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে এসেছিল সে। ওর হাতে নতুন ছাতা ও ব্যাগসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।

কীভাবে ওই শিশু উপবৃত্তির টাকা বঞ্চিত হলো সেটি খুঁজে বের করতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসময় এই শিশুর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন ইউএনও।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *