ঢাবি প্রতিনিধিঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নাবিল হায়দার মারা গেছেন। শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) সকাল ৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নাবিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার নিজ জেলা ভোলা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে থাকতেন।
নাবিলের মৃত্যুতে সংগঠনটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাবেক ছাত্রনেতা থেকে শুরু করে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন নাবিল হায়দারের সাথে তার ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার অপার সীমানাতে তোমার চিহ্ন তবু রবে বেঁচে’।
নাবিল হায়দারের জানাজাতে সাদ্দাম হোসেনের কান্নার বর্ণনা দিয়ে এক জনৈক ছাত্র লিখেন,সাদ্দাম ভাইয়ের খুবই একনিষ্ঠ ভক্ত ছিল নাবিল। হয়ত সাদ্দাম ভাইয়ের কাছে ও তাই। তাই তো নিজের স্নেহের কর্মীর মৃত্যুতে অনলবর্ষী বক্তা নামে পরিচিত সাদ্দাম ভাইয়ের ও কথা আটকে যায় কান্নায়! স্পীকার হাতে নিয়ে একটা পূর্ণ শব্দ ও বের হলনা, কান্না ছাড়া!! যে দৃশ্য জানাযায় উপস্থিত সবার হৃদয়কে আরো নাড়িয়ে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পরপারে ভালো থাকিস অনুজ নাবিল হায়দার। মেনে নিতে পারছি না। আত্মার শান্তি কামনা করছি।
মৃত্যুর পর শেষবারের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয় নাবিল হায়দারের মরদেহ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
নাবিল হায়দারের নম্র,ভদ্র ব্যবহারের প্রশংসা সবার মুখে মুখে। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র,জুনিয়র , ঢাকার অন্যান্য ইউনিটের নেতারা তার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গভীর শোক প্রকাশ করছে।
নাবিল হায়দারের বড় ভাই তওসিফ উদ্দিন তনয় জানান, আগামীকাল শনিবার ভোলার বোরহানউদ্দিনের নিজ বাসায় সকাল সাড়ে ১০টায় তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এপর পারিবারিক করস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, সহপাঠী রাজনৈতিক সহকর্মী সকলের কাছে নাবিলে বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন।