‘ অপেক্ষা ‘
শুনছো তন্ময়?
আজকেও ঐ কৃষ্ণচূড়া তলে মেলা বইয়াছিলো।
ফুলে ফুলে ছাইয়া গেছিলো প্রতিটা যৌবন।
তুমি কিন্তু আইলা নাহ!
আমি নীল শাড়ি পরছিলাম,
কপালে কালো টিপ, হাতে লাল চুড়ি, আর খোপায় বেলীফুল;
তবুও তোমার দেখা আর পাইলাম নাহ।
দুপুর গড়াইয়া বিকাল হইয়া গেলো,
মেলা থেইকা অনেক লোক ফিরে আইতা লাগলো,
গাছের শালিক দুটিও কিচিরমিচির থামাইয়া চইলা গেলো,
আমি কিন্তু তোমার অপেক্ষায় চাইয়া রইলাম।
ক্ষুধার্ত চোখ, পুলকিত মন, ব্যথিত হৃদয় –
অপেক্ষার মানে বুঝি তবে এটাই?
চারটা বছর ধইরা অপেক্ষা করতাছি,
দিন নাই, রাত নাই, পথ চাহিয়া বইয়া আছি;
তবে তোমার ফেরার নাম নাই।
তুমি কইয়াছিলে আমায় লইয়া মেলায় যাইবা,
আমারে একখানা পুতুল কিইনা দিবা,
আমারে লইয়া পুরো গেরাম ঘুরে দেখাইবা,
আজ চারটা বছর পার হতে চলল ;
তুমি আর আইলা নাহ;
আমার অপেক্ষার অবসান আর হইলো নাহ।
জানো তন্ময়?
আমারে না ঘর থেইকা বাইর হইতে দেয় নাহ;
লোকে বলে আমি নাকি পাগল হইয়া গেছি,
তোমার শোকে আমার মাথা খারাপ হইয়া গেছে।
তুমি কও
তোমার মুমু কি পাগল হইতে পারে!
ভালোবাইসা মানুষ কি পাগল হয়?
তন্ময়, আমার অপেক্ষার কি তাইলে অবসান হইবো নাহ?
তুমি কি তাইলে আমায় লইয়া মেলায় যাইবা নাহ?
আমি তো তোমারে এক শহর ভালোবাসা দিছিলাম।
আর সেই তুমি আমার শহর ছাইড়া চইলা গেলা!
আমার জীবনটা না অমাবস্যার মতোই রইয়া গেলো,
পুর্নিমার চাঁদ হইয়া তুমু আর আইলা নাহ।
নাম : মোঃ ইফতেখার মাহমুদ
প্রতিষ্ঠান : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বর্ষ : প্রথম